চুলকানির ঔষধের নাম হলো: Togent, ItchCare, Bendil. নিচে আরো বেশ কিছু চুলকানির ঔষধের নাম তুলে ধরা হবে। ডাক্তারের পরামর্শক্রমে সে সকল ঔষধ সেবন করলে আশা করা যায় ভালো ফলাফল পাবেন।
চুলকানির ঔষধের নাম | চুলকানি দূর করার ঔষধ
চুলকানির বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে। তাই ডাক্তারের পরামর্শক্রমে আপনাকে ওষুধ সেবন করতে হবে। ঔষধের নাম জেনে নিয়ে নিজে নিজে ফার্মেসি থেকে ঔষধ ক্রয় করা উচিত নয়, এতে করে ক্ষতি হতে পারে। নিচে যে সকল চুলকানির ঔষধের নাম তুলে ধরা হবে, সেই ওষুধগুলোর সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে এবং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে তারপর সেবন করতে হবে। যাই হোক চলুন দেখে নেয়া যাক, চুলকানির ঔষধের নাম।
- Winkol
- Eramin
- Hispasin
- Histalex
- Hisnul
চুলকানি দূর করার ক্রিম
উপরে উল্লেখিত চুলকানির ঔষধের নাম সমূহের মধ্য থেকে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে যে কোন একটি ঔষধ সেবন করার পাশাপাশি যদি আপনি চুলকানি দূর করার ক্রিম ব্যবহার করেন, তাহলে দ্রুত চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন। চুলকানি দূর করার ক্রিম সমূহের মধ্য থেকে সর্বাধিক কার্যকর ক্রিম সমূহের নাম নিচে তুলে ধরা হলো। অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে নিম্ন বর্ণিত ক্রিমগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।
- Calamilon
- Calamin M
- Calamine
চুলকানি প্রতিরোধের উপায়
রোগে আক্রান্ত হয়ে এরপরে চিকিৎসা করার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ করা উত্তম। আপনি যদি নিম্ন বর্ণিত উপায় সমূহ অনুসরণ করেন, তাহলে আশা করা যায় চুলকানি প্রতিরোধ করতে পারবেন অর্থাৎ নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতি গুলো মেনে চললে আপনার চুলকানির মত সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে।তো চলুন দেখে নেয়া যাক, চুলকানি প্রতিরোধের উপায় সমূহ।
- পার্সোনাল হাইজিন মেইনটেইন করুন: অপরিচ্ছন্ন থাকলে চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই যদি আপনি চুলকানি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত রাখতে চান, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে পার্সোনাল হাইজিন মেইনটেইন করতে হবে। পার্সোনাল হাইজিন হলো: খাবার খাওয়ার পূর্বে হাত-ধৌত করা, টয়লেট ব্যবহার করার পরে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার কাপড় পরিধান না করা, অপরিচ্ছন্ন জায়গায় যাতায়াত না করা ইত্যাদি।
- কম ক্ষার যুক্ত সাবান ব্যবহার করুন: যে সকল সাবানে ক্ষারের পরিমাণ কম সে সকল সাবান ব্যবহার করতে হবে। কেননা অধিক ক্ষার যুক্ত সাবান ব্যবহার করলে তা চুলকানির কারণ হতে পারে। সুতরাং যদি চুলকানি সহ যাবতীয় ত্বকের রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চান তাহলে, কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে।
- গরম পানিতে গোসল করা বন্ধ করুন: অনেকেই গরম পানি দিয়ে গোসল করে থাকেন, আপনার যদি চুলকানি জনিত সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই গরম পানিতে গোসল করা পরিহার করতে হবে। কেননা গরম পানিতে গোসল করলে চুলকানির সমস্যা বৃদ্ধি পাবে।
- ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করুন: সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করতে হবে। চাপা পোশাক পরিধান করলে তা ত্বকের সাথে ঘষা লেগে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, ফলে চুলকানি সহ বিভিন্ন ধরনের ত্বকের রোগ দেখা দিতে পারে। তাই সর্বদা ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করবেন।
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন: যদি আপনি সুস্থ থাকতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শুধু তা আপনার ত্বককেই সুস্থ রাখবে না বরং পুরো শরীরকে সুস্থ রাখবে।
চুলকানির ট্যাবলেট এর নাম
চুলকানি দূর করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ঔষধ সেবন করতে হবে। ঔষধ সেবন না করলে চুলকানি ভালো হবে না। ইতোমধ্যেই উপরে বেশ কিছু কার্যকর চুলকানির ঔষধের নাম তুলে ধরা হয়েছে।ডাক্তারের সহিত পরামর্শক্রমে আপনি সেই ওষুধগুলো সেবন করতে পারেন।
এছাড়াও আরো বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের চুলকানির ট্যাবলেট রয়েছে। অধিক কার্যকর এবং বহুল ব্যবহৃত আরো কয়েকটি চুলকানির ট্যাবলেট এর নাম নিচে তুলে ধরা হলো। নিম্ন বর্ণিত ঔষধ গুলো সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
- Alerjess
- Sedilux-M
- Pheramin
- Histason
- Histadyl
চুলকানি দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন
চুলকানি দূর করার কিছু ঘরোয়া ও সহজ উপায় রয়েছে। ঘরোয়া ভাবে সেই উপায় গুলো যথাযথভাবে অবলম্বন করলে খুব সহজেই আপনি চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। যে সকল অবলম্বন করলে খুব সহজেই চুলকানি থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব সেগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
- নখ ছোট রাখুন: নখ বড় রাখলে নখের নিচে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু অবস্থান করে ফলে চুলকানি সহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে নখ বড় রাখলে শরীরে খোশ পাঁচড়া বা চুলকানির সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই, নখ ছোট রাখুন নিজেকে সুস্থ রাখুন।
- ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন: ড্রাই স্কিন বা শুষ্ক ত্বকে খুব সহজেই চুলকানি হতে পারে। আর তাই সর্বদা তোকে মহেশচারাইজার ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয় তাহলে ত্বক হাইড্রেট রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের বিকল্প নেই।
- চুলকানি বৃদ্ধিকারী খাবার পরিহার করুন: যে সকল খাবার চুলকানি কিংবা এলার্জি বৃদ্ধি করে সেই সকল খাবার খাওয়া থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে। কেননা আপনি যদি চুলকানি বৃদ্ধিকারী খাবার খান, তাহলে কিন্তু আপনার চুলকানির প্রকোপ বেড়ে যাবে। তাই খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে।
- উচ্চ সুগন্ধি যুক্ত প্রসাধনী পরিহার করুন: যে সকল কসমেটিক্সে উচ্চমাত্রায় সুগন্ধি রয়েছে সেগুলো আপনাকে পরিহার করতে হবে। কেননা উচ্চমাত্রায় সুগন্ধিযুক্ত প্রসাধনীতে এলার্জেন রয়েছে যা ত্বকের চুলকানি বৃদ্ধি করে থাকে। সুতরাং অধিক মাত্রায় সুগন্ধিযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
- বিছানা পরিষ্কার রাখুন: বসার স্থান কিংবা শোয়ার স্থান যদি অপরিচ্ছন্ন হয় কিংবা সাথে হয় তাহলে চুলকানি হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা থাকে তাই অবশ্যই আপনাকে শোয়ার বিছানা এবং বসার স্থান নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। বিশেষ করে বিছানার চাদর সপ্তাহে অন্তত তিনবার ধুয়ে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়
উপরে যে সকল চুলকানির ঔষধের নাম তুলে ধরা হয়েছে সে ওষুধগুলো সেবন করার পাশাপাশি যদি আপনি এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায় যথাযথভাবে অবলম্বন করেন তাহলে খুব দ্রুত চুলকানির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
আপনার যদি এলার্জি জনিত চুলকানি থাকে তাহলে নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতি গুলো আপনার জন্য কার্যকর হতে পারে। আশা করি নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতি গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করলে এলার্জি চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন। চলুন দেখে নেই এলার্জি চুলকানি দূর করার কার্যকর উপায় সমূহ।
- অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন: চুলকানির সমস্যা দূর করতে এলোভেরার জেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আক্রান্ত স্থানে যদি আপনি নিয়মিত কিছুদিন এলোভেরা জেল ব্যবহার করেন,তাহলে আশা করা যায় অল্প সময়ের মধ্যেই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি চুলকানি থেকে মুক্তি পাবেন।
- আক্রান্ত স্থান ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন: শরীরের যে সকল অংশে চুলকানির সমস্যা রয়েছে সেগুলোতে সাবান ব্যবহার করা পরিহার করতে হবে এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে সেই স্থানগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। কেননা সাবান ব্যবহার করলে তা চুলকানির সমস্যার বৃদ্ধি করবে। পক্ষান্তরে যদি আপনি ঠান্ডা পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার করেন তাহলে চুলকানির প্রভাব অনেক কমে আসবে।
- দীর্ঘ সময় পানিতে ভিজবেন না: চুলকানির মতো সমস্যা থাকলে অবশ্যই আপনাকে দীর্ঘ সময় পানিতে থাকা পরিহার করতে হবে কেননা দীর্ঘ সময় যদি আপনি পানিতে অবস্থান করেন সে ক্ষেত্রে ত্বকের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- যথাসম্ভব চুলকানি এড়িয়ে চলুন: আপনাকে অবশ্যই যথাসম্ভব চুলকানি এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা চুলকালে জীবাণুগুলো সারা শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে আর তাই চুলকানি থেকে বিরত থাকা উচিত।
- ধুলাবালি এড়িয়ে চলুন: আপনাকে অবশ্যই ধুলাবালি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা ধুলাবালিতে চুলকানির সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।