এই আর্টিকেলটিতে আমরা হাই প্রেসার ও লো প্রেসার এর লক্ষণ, এর কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো । আপনার যদি জানতে চান যে আপনার হাই প্রেসার কিংবা লো প্রেসারের সমস্যা রয়েছে কিনা, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন দেখে নেয়া যাক, হাই প্রেসার ও লো প্রেসার এর লক্ষণসমূহ।
ভূমিকা: রক্তচাপ কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
রক্তচাপের মাধ্যমে শরীরের রক্ত চলাচলের গতি ও চাপ মাপা হয়, যা হৃদযন্ত্র ও রক্তবাহিকাকে সুস্থ ও কার্যকর রাখে। তবে এই রক্তচাপে যখন পরিমিত উত্থান-পতন ঘটে, তখন তা হাই প্রেসার (উচ্চ রক্তচাপ) সম্পর্কে বা লো প্রেসার (নিম্ন রক্তচাপ) এর সমস্যা দেখা দেয়।
আর হাই প্রেসার কিংবা লো প্রেসার কখনো কখনো প্রাণঘাতী হতে পারে তাই সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে যে আপনার হাই প্রেসার ভালো প্রেসার জনিত সমস্যা রয়েছে কিনা। হাই প্রেসার কিংবা লো প্রেসার জনিত সমস্যা আছে কিনা তা বুঝার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে লক্ষণ সমূহ।
হাই প্রেসার এবং লো প্রেসার এর যে লক্ষণ গুলো রয়েছে এগুলো যদি আপনার মাঝে বিদ্যমান থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার হাই প্রেসার কিংবা লো প্রেসার হয়েছে। আর হাই প্রেসার ভালো প্রেসার জনিত সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
হাই প্রেসার এর লক্ষণ
রক্তচাপ শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। যখন রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রার উপরে উঠে যায়, তখন তাকে হাই প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। এটি একটি নীরব ঘাতক হিসেবেও পরিচিত, কারণ অনেক সময় কোনও লক্ষণ ছাড়াই এটি শরীরের ক্ষতি করে থাকে।
হাই প্রেসার এর প্রধান লক্ষণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, হাই প্রেসার হলে সাধারণত যে সকল লক্ষণ দেখা দেখা দেয় সেগুলো নিচে লিস্ট আকারে তুলে ধরা হলো। নিম্ন বর্ণিত লক্ষণসমূহের এক বা একাধিক লক্ষণ যদি আপনার মাঝে বিদ্যমান থাকে সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে আপনার হাই প্রেসার জনিত সমস্যা রয়েছে এবং দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
- মাথা ব্যথা: উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষণ হলো মাথা ব্যথা। বিশেষ করে মাথার পেছনের দিকে চাপযুক্ত বা ধাক্কাধাক্কি ধরনের ব্যথা অনুভূত হতে পারে, যা সকালে ঘুম থেকে উঠার পর বেশি প্রকট হয়।
- ঘাড়ে চাপ: অনেক সময় ঘাড়ের পেছনে বা মাথার নিচের অংশে ভারী চাপ বা টান টান ব্যথা অনুভব হয়। এটি হাই প্রেসারের একটি সাধারণ শারীরিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
- দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা: রক্তচাপ বেড়ে গেলে চোখের রেটিনার উপর চাপ পড়ে, যার ফলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে বা চোখে কালো দাগ বা আলোর ঝলক দেখা দিতে পারে।
- বুকে ব্যথা: হাই প্রেসার হৃদপিণ্ডে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা বুকে ব্যথা, ভার অনুভব বা জ্বালাভাব তৈরি করতে পারে। এটি অ্যাঞ্জিনা বা হার্ট অ্যাটাকের পূর্বাভাস হতে পারে।
- শ্বাসকষ্ট: রক্তচাপ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না, ফলে হাঁপ ধরা, দম বন্ধ হয়ে আসা বা গভীর শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়।
- হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া: হঠাৎ করে হৃদযন্ত্রের গতি বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিতভাবে হৃদস্পন্দন অনুভব করা উচ্চ রক্তচাপের গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হতে পারে।
- অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা অবসাদ: অনিয়ন্ত্রিত হাই প্রেসার শরীরের রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি করে, যার ফলে শরীর দুর্বল লাগে এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি বা অবসাদ অনুভব হয়, এমনকি বিশ্রাম নেওয়ার পরও।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০ mmHg হওয়া উচিত। যখন এটি ১৪০/৯০ mmHg বা এর বেশি হয়, তখন এটি হাই প্রেসার হিসেবে বিবেচিত হয়।
হাই প্রেসারের সম্ভাব্য কারণ সমূহ
বংশগত কারণ | পরিবারের কোনো সদস্যর উচ্চ রক্তচাপ থাকার ইতিহাস রয়েছে। |
অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ | লবণের সোডিয়াম আমাদের দেহে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে রক্তচাপ বাড়ে। |
অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা | ব্যায়ামের অভাব, ধূমপান, আসক্তিমূলক পানীয়। |
ওজন বৃদ্ধি | ওজন বাড়লে রক্তনালীতে চাপ বেড়ে যায়। |
চাপ/স্ট্রেস | দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ হৃদযন্ত্রে প্রভাব ফেলে। |
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস | চর্বিযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি। |
বয়স | বয়স ঘটা ঠাণ্ডা রক্তনালীর নমনীয়তা কমিয়ে দেয়। |
হাই প্রেসারের সম্ভাব্য জটিলতা সমূহ
- স্ট্রোক বা সেরিব্রাল এইভিডেন্ট উচ্চ রক্তচাপের কারণে মস্তিষ্কে রক্তনালী ফেটে যেতে পারে বা রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হতে পারে, যা স্ট্রোকের কারণ হয়। এর ফলে পক্ষাঘাত, কথা বলার অসুবিধা বা মৃত্যুও হতে পারে।
- হার্ট অ্যাটাক হৃদপিণ্ডের ধমনিতে ব্লক তৈরি হলে হৃদপিণ্ড পর্যাপ্ত রক্ত পায় না। এতে হার্ট অ্যাটাক ঘটে, যার লক্ষণ হলো বুকে তীব্র ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ঘাম ও দুর্বলতা।
- কিডনি ক্ষতি ও কার্যকারিতার অবনতি উচ্চ রক্তচাপ কিডনির রক্তনালীগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ফলে কিডনি ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে এটি কিডনি ফেলিওর পর্যন্ত গড়াতে পারে।
- চোখে সমস্যা: রেটিনার ক্ষতি রক্তচাপ বেড়ে গেলে চোখের রেটিনার রক্তনালীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ঝাপসা দেখা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এবং মারাত্মক ক্ষেত্রে অন্ধত্ব পর্যন্ত হতে পারে।
- অ্যাঞ্জিনা ও হৃদ করোনা: পুরোপুরি রক্তপ্রবাহ বন্ধ হওয়া অ্যাঞ্জিনায় বুকে চাপ বা ব্যথা অনুভূত হয়, যা হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। রক্তপ্রবাহ একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়, যা জীবনঘাতী হতে পারে।
লো প্রেসার এর লক্ষণ
লো প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপ তখন ঘটে যখন রক্তচাপ ৯০/৬০ mmHg বা এর নিচে নেমে যায়। মৃদু লো প্রেসার শরীরের জন্য তেমন ক্ষতি করো নয় তবে, যদি এটি উচ্চ মাত্রায় দেখা দেয় সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই লো প্রেসার নির্ণয় এবং এর চিকিৎসা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লো প্রেসার থাকলে সাধারণত রক্ত সঠিকভাবে শরীরের সকল অংশে পৌঁছাতে পারে না, ফলে মস্তিষ্ক, কিডনি, ও হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
লো প্রেসার এর লক্ষণগুলো হলোঃ
লো প্রেসার হলে সাধারণত যে সকল লক্ষণ সমূহ দেখা দিতে পারে সেগুলোর নিচে লিস্ট আকারে তুলে ধরা হয়েছে, আসুন দেখে নেই লো প্রেসার এর লক্ষণসমূহ:
- মাথা ঘোরা বা ঝিম ধরা: রক্তচাপ কম থাকায় মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, ফলে হঠাৎ মাথা ঘোরা বা ঝিম ধরে যাওয়ার অনুভূতি হয়।
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার উপক্রম: রক্তচাপ খুব কমে গেলে শরীরের তাড়াতাড়ি অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যার কারণে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়।
- ক্লান্তি বা অবসাদ: কম রক্তচাপের ফলে শরীর দুর্বল ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে, এমনকি বিশ্রাম নিলেও ক্লান্তি কমে না।
- বুকে চাপ বা অস্বস্তি: লো প্রেসারের কারণে হৃদপিণ্ডে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ না হওয়ায় বুকে চাপ বা অস্বস্তির অনুভূতি হতে পারে, যা অনেক সময় উদ্বেগ বা ভয়ও তৈরি করে।
- মনোযোগে ঘাটতি: মস্তিষ্কে রক্ত কম প্রবাহিত হওয়ায় মনোযোগ কমে যায়, মনে জোর ধরে না, কাজ করতে অসুবিধা হয়।
- শরীর ঠান্ডা বা ঘাম হওয়া: রক্তচাপ কম থাকার কারণে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়; ফলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে এবং অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।
হাই প্রেসার ও লো প্রেসারের পার্থক্য
নিচের টেবিলে হাই প্রেসার ও লো প্রেসার এর মধ্যে মূল পার্থক্য তুলে ধরা হলো-
রক্তচাপের মাত্রা | ১৪০/৯০ mmHg বা এর বেশি | ৯০/৬০ mmHg বা কম |
সাধারণ লক্ষণ | মাথা ব্যথা, দৃষ্টিশক্তি সমস্যা, বুকে ব্যথা | মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ক্লান্তি |
ঝুঁকি | স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি সমস্যা | অজ্ঞান হওয়া, অঙ্গ বিকল হওয়া |
চিকিৎসা | নিয়মিত ওষুধ, খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, ব্যায়াম | পর্যাপ্ত পানি, সঠিক খাদ্য, প্রয়োজনে ওষুধ |
হাই প্রেসার ও লো প্রেসারের চিকিৎসা ও প্রতিকার
- নিয়মিত ওষুধ খান: ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ ঠিক সময়ে খাওয়া খুবই জরুরি। সাধারণত ACE inhibitors, ARBs, Beta-blockers, Calcium channel blockers এর মতো ওষুধ ব্যবহৃত হয় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য। ওষুধ এড়ানো বা ভুল সময়ে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হতে পারে।
- লবণের পরিমাণ কমান: প্রতিদিন লবণ খুব বেশি খাওয়া রক্তচাপ বাড়ায়। তাই খাবারে লবণের পরিমাণ ১ চা চামচ বা তার থেকে কম রাখার চেষ্টা করুন। খাবারে স্বাদ বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত লবণ না দিয়ে অন্যান্য মসলা ব্যবহার করতে পারেন।
- সুস্থ ও সুষম খাবার খান: তাজা ফল, সবজি, গোটা শস্য, এবং কম চর্বিযুক্ত দুধজাত খাবার নিয়মিত খেতে হবে। এ ধরনের খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শরীর সুস্থ রাখে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি ধরণের ব্যায়াম, যেমন হাঁটা, সাইক্লিং বা হালকা জগিং করুন। ব্যায়াম হৃদপিণ্ডকে শক্তিশালী করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- ওজন ঠিক রাখুন: অতিরিক্ত ওজন থাকলে রক্তচাপ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কমানো মানেই হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
- মানসিক চাপ কমান: যোগব্যায়াম, ধ্যান কিংবা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। চাপ কমলে রক্তচাপও প্রাকৃতিকভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন: ধূমপান রক্তচাপ বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অ্যালকোহলও অতিরিক্ত গ্রহণ করলে সমস্যা হয়। তাই এগুলো থেকে দূরে থাকাই ভালো।
লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণ
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন: দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- খাদ্য নিয়ন্ত্রণে মনোযোগ দিন: লবণ ও ইলেকট্রোলাইটসমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে রক্তচাপ বাড়ানো যেতে পারে। তাই সঠিক পরিমাণে লবণ এবং প্রয়োজনীয় খনিজ গ্রহণ করা জরুরি।
- ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র খাবার খান: একবারে বড় খাবার খাওয়ার পরিবর্তে দিনভর ছোট ছোট খাবার খেলে হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়ার সমস্যা কমে যায়।
- হঠাৎ দ্রুত ওঠা থেকে বিরত থাকুন: হুড়োহুড়ি করে না উঠে ধীরে ধীরে, ধীরে ধীরে উঠুন। এটা রক্তচাপ হঠাৎ কমে যাওয়া বা মাথা ঘোরা রোধ করে।
- পায়ের ওপর চাপ দিন: বসার সময় হাঁটু উঁচু করে পায়ের পেছন শক্ত করে মাটিতে রাখুন। এটি রক্তচাপ ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
- ওষুধের প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: প্রয়োজনে Fludrocortisone বা Midodrine জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্রহণ করতে পারেন, যা লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
উপসংহার
উচ্চ ও নিম্ন দুই ধরনের রক্তচাপই শরীরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। লক্ষণগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করে গবেষণা ভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে, জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি সম্ভব। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক কার্যকলাপ ও মানসিক প্রশান্তি রক্ষা-এই সকল মিলিত প্রায়োগিক পন্থা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যদি কখনো বুঝতে পারেন কোনো লক্ষণ – মাথা ব্যথা, চোখে ঝাপসা, খিঁচুনি, বা মানসিক অস্থিরতা রোগাক্রান্ত থেকে, অবিলম্বে একজন পারদর্শী ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সবসময়ই বাঞ্ছনীয়।
হাই প্রেসার ও লো প্রেসার এর লক্ষণ: প্রশ্নোত্তর সমূহ
Q1: হাই প্রেসার থাকলে কি প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ব্লাড প্রেসার ওষুধ খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
Q2: নিম্ন রক্তচাপ কি বেশি বিপজ্জনক?
উত্তর: হ্যাঁ, বিশেষ করে হঠাৎ কমে গেলে অচেতনতা, আহত হওয়ার ঝুঁকি ও মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে যেতে পারে।
Q3: কি কারণে হাই প্রেসার হয়?
উত্তর: অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ, মানসিক চাপ, স্থূলতা, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও জীবনধারা, বংশগত বিষয় ইত্যাদি হাই প্রেসারের জন্য দায়ী।
Q5: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী খাওয়া উচিত?
উত্তর: DASH ডায়েট (ফলমূল ও সবজির উপর গুরুত্ব), কম লবণযুক্ত, উচ্চ ফাইবার, কম চর্বিযুক্ত প্রোটিন ও লৌহসমৃদ্ধ খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।