e cap 400 এর কাজ হল শরীরে ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ করা। এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে e cap 400 ক্যাপসুলটি সেবন করলে আরো বিভিন্ন ধরনের শারীরিক উপকারিতা পাওয়া যায়। e cap 400 এর কাজ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হবে।
ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা | e cap 400 এর উপকারিতা কি
ই ক্যাপ 400 ঔষধটি মূলত ভিটামিন ই সাপ্লিমেন্টরি। ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল ফার্মাসিটিক্যালস কোম্পানি এই ঔষধটি প্রস্তুত করে থাকে। বাংলাদেশের ব্যাপক জনপ্রিয় ও ব্যবহারিত এই ক্যাপসুলটির যে সকল উপকারিতা রয়েছে সেগুলো নিচে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হবে।
তাই ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য আর্টিকেলের এই অংশটি মনোযোগের সাথে পড়তে থাকুন।
- ত্বক উজ্জ্বল করে: ই ক্যাপ 400 এর গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকারিতা হলো এটি ত্বক উজ্জ্বল করে। অর্থাৎ ডাক্তারের পরামর্শক্রমে যদি আপনি নিয়মিত কিছুদিন ই ক্যাপ 400 ঔষধটি সেবন করেন তাহলে আশা করা যায় তা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বহুগুণ বৃদ্ধি করবে। কেননা ভিটামিন ই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ত্বক উজ্জ্বল করতে চাইলে ডাক্তারের সহিত পরামর্শ করে নিয়মিত ই ক্যাপ 400 ওষুধটি সেবন করতে পারেন।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: শারীরিক সুস্থতার জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ই ক্যাপ 400 ওষুধটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, তাই যদি আপনি এই ঔষধটি সেবন করেন তাহলে তা আপনার শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি করবে।
- ক্ষত নিরাময়ের সহায়তা করে: যেকোনো ধরনের ক্ষত নিরাময় করতে ই ক্যাপ 400 সেবন করা যেতে পারে। বিশেষ করে আপনার যদি এই ধরনের সমস্যা থাকে যে, ক্ষত সহজে দূর হয় না তাহলে আপনি অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ই ক্যাপ 400 ঔষধটি সেবন করবেন, আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন।
- দাগ দূর করে: আপনার ত্বকে যদি দাঁগ থাকে সেক্ষেত্রে আপনার জন্য এই ওষুধটি খেতে পারেন। এই ওষুধটি শরীরের যে সকল উপকার করে থাকে, তার মধ্যে থেকে অন্যতম একটি উপকারিতা হলো দাগ দূর করা।
- চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে: e cap 400 ক্যাপসুলে থাকা পুষ্টি উপাদান চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। শুধু তাই নয় চুল পড়া বন্ধ করার ক্ষেত্রেও e cap 400 ক্যাপসুলটি খুবই কার্যকর। তাই যদি আপনার চুল পড়ে যাওয়ার মত সমস্যা থাকে এবং চুল আশানুরূপ লম্বা না হয় তাহলে নিয়মিত কিছুদিন e cap 400 ওষুধটি খেতে পারেন। নিয়মিত এই ঔষধটি খেলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আশা করা যায় ভালো ফলাফল পাবেন।
- নখের রোগ দূর করে: নখ মরে যাওয়া, নখের মধ্যে সাদা দাগের সৃষ্টি হওয়া, নখ ভেঙ্গে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা থাকলে ই ক্যাপ 400 ঔষধটি খেতে হবে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যদি আপনি এই ওষুধটি নিয়মিত কিছুদিন সেবন করেন, তাহলে আশা করি, আপনার নখের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
- ত্বক মসৃণ রাখে: ত্বকের গ্লো বৃদ্ধি করতে এবং ত্বক মসৃণ রাখতে ই ক্যাপ 400 ঔষধটি খুবই কার্যকর হিসেবে বিবেচিত। আর তাই যদি আপনি আপনার ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখতে চান, সেক্ষেত্রে নিয়মিত কিছুদিন এই ঔষধটি সেবন করুন।
- বার্ধক্যের ছাপ কমায়: e cap 400 ঔষধটি চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ কমাতে সহায়তা করে। সুতরাং নিয়মিত e cap 400 খান, বার্ধক্যের ছাপ দূর করুন। তবে মনে রাখবেন কোন ঔষধ দীর্ঘদিন খেতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যদি আপনি দীর্ঘদিন ঔষধ সেবন করেন, তাহলে কিন্তু তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
- দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে: নিয়মিত যদি e cap 400 সেবন করেন তাহলে তা আপনার দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করবে। তাই চোখের কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অন্যান্য ঔষধের সাথে ডাক্তার গণ সাধারনত e cap 400 প্রেসক্রাইব করে থাকেন।
ই ক্যাপ 400 এর অপকারিতা
অধিক মাত্রায় ই ক্যাপ ক্যাপসুল সেবন করলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হতে পারে। আর তাই অবশ্যই আপনাকে অতিরিক্ত পরিমাণে এই ক্যাপ ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অধিক মাত্রায় ই ক্যাপ 400 খেলে যে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে সেগুলো নিচে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হলো। উপকারিতার পাশাপাশি এই অপকারিতা সমূহ সম্পর্কে জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- বমি বমি ভাব: আপনি যদি অধিক মাত্রায় ই ক্যাপ ৪০০ খান তাহলে কিন্তু আপনার বমি বমি ভাব হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেননা অধিক মাত্রায় e cap 400 ক্যাপসুল খেলে এই ধরনের সমস্যা সাধারণত পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।
- ডায়রিয়া: ই ক্যাপ ক্যাপসুল খাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অপকারিতা হলো ডায়রিয়া হওয়া। কেননা ই ক্যাপ ক্যাপসুল যেহেতু ভিটামিন ই সম্বলিত একটি ক্যাপসুল, তাই অধিক মাত্রায় ই ক্যাপ ক্যাপসুল সেবন করলে পেট খারাপ হওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে নির্ধারিত মাত্রায় e cap 400 ক্যাপসুল খেতে হবে।
- পেটব্যথা: কখনো কখনো e cap 400 সেবন করার ফলে পেট ব্যথার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি কখনো এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে এটি সেবন করা সাথেই বন্ধ করে দিতে হবে। আর সমস্যা অধিক পরিমাণে বেড়ে গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
- অস্থিরতা: ই ক্যাপ ক্যাপসুল খাওয়ার আরেকটি অপকারিতা হলো, অধিক মাত্রা এটি খেলে অস্থিরতা ভাব বৃদ্ধি পায়। তাই যদি আপনি দেখতে পান যে ই ক্যাপ ক্যাপসুল খাওয়ার ফলে আপনার অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে তাহলে তা খাওয়া পরিত্যাগ করতে হবে।
- মাথাব্যথা: কিছু কিছু ক্ষেত্রে ই ক্যাপসুলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে মাথাব্যথার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ ঔষধ সেবন করতে হবে এবং এ ক্যাপ ক্যাপসুল খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
e cap 400 কি কাজ করে | e cap 400 ki kaj kore
e cap 400 ঔষধটি বেশকিছু রোগের কার্যকর প্রতিষেধক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। আপনার যদি নিম্ন বর্ণিত সমস্যা গুলো থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শক্রমে e cap 400 ওষুধ কি খেতে পারেন। আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন। তো চলুন দেখে নেয়া যাক, e cap 400 কি কাজ করে?
- আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধ করে: e cap 400 আলঝেইমার রোগ দিয়ে সহায়তা করে। তাই আপনার যদি আলঝেইমার রোগের সমস্যা থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত কিছুদিন e cap 400 খেতে পারেন।
- হার্ট ভালো রাখে: e cap 400 ক্যাপসুলে ভিটামিন ই রয়েছে। আর ভিটামিন ই হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। সুতরাং ই ক্যাপ ৪০০ খান, হার্ট ভালো রাখুন।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ই ক্যাপ ক্যাপসুল কার্যকর ভূমিকা রাখে।
- মাসিক ঋতুস্রাবের ব্যথা দূর করে: মাসিক ঋতুস্রাবের সময় ব্যথা যদি কারো দেখা দেয় সেক্ষেত্রে ই ক্যাপ ৪০০ খাওয়া যেতে পারে। এতে করে ব্যথা অনেক কমে আসবে।
- পেশী শক্তিশালী করে: মাসল বা বেশি শক্তিশালী করতে ই ক্যাপ ৪০০ খাওয়া যেতে পারে।
ই ক্যাপ খেলে কি হয়
e cap 400 ওষুধটি খেলে নিম্ন বর্ণিত উপকারিতা সমূহ পাবেন। আর তাই সঠিক মাত্রায় নিয়মিত e cap 400 ওষুধটি খেতে পারেন। তবে খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই কিন্তু আপনাকে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
- সংক্রমণ কমায়।
- রক্ত জমাট বাধার সমস্যা দূর করে।
- ফুসফুস সুস্থ রাখে।
- রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে।
ই ক্যাপ কখন খেতে হয় | e cap 400 খাওয়ার নিয়ম
ই ক্যাপ কখন খেতে হয়, তা আপনাকে ডাক্তার ভালোভাবেই বলে দিবে। সুতরাং e cap 400 খাওয়ার নিয়ম নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। ডাক্তার আপনাকে ঔষধ খাওয়ারে যেই নিয়ম বাতলে দেবে আপনাকে সেই নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে।
ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত নিজে নিজে ফার্মেসি থেকে ঔষধ ক্রয় করে খাওয়া যাবে না। তবে ডাক্তার গণ সাধারণত দিনে একটি অথবা সর্বোচ্চ দুটি ঔষধ প্রেসক্রাইব করে থাকেন। দৈনিক দুইয়ের অধিক ই ক্যাপ ক্যাপসুল খাওয়া উচিত নয়।
ই ক্যাপ কিসের ঔষধ
এটা মূলত ভিটামিন জাতীয় একটি ঔষধ। তাই এটি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। যেকোনো ধরনের ভিটামিন ই ডিফিসিয়েন্সির জন্য ই ক্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। ই ক্যাপ ক্যাপসুল খেলে তা নিম্ন বর্ণিত সমস্যা গুলো দূর করবে।
- হরমোনাল ইমব্যালেন্স দূর করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- হজম শক্তির বৃদ্ধি করে।
- লিভার ভালো রাখে।
- প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
ই ক্যাপ 400 মুখে দিলে কি হয়
ই ক্যাপ 400 শুধু খাওয়ার জন্য নয় বরং এটি ব্যবহার করা যায়। আপনি যদি নির্দিষ্ট নিয়মে ই ক্যাপ 400 মুখের ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে আপনি ত্বক অনেক ভালো রাখতে পারবেন। ত্বকে ই ক্যাপ 400 ব্যবহার করলে যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায়, সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
- ত্বক আর্দ্র রাখে।
- ত্বকের নমনীয়তা বৃদ্ধি করে।
- দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।
ই ক্যাপ চুলে ব্যবহারের নিয়ম
e cap 400 ওষুধ টি চুলের ব্যবহার করার বিশেষ নিয়ম রয়েছে। বিভিন্নভাবে এই ওষুধটি চলে ব্যবহার করা যেতে পারে। যে সকল উপায়ে e cap 400 আপনি চুলে ব্যবহার করতে পারবেন সেই উপায় সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো।
- ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর ভিতরে থাকা তেল সরাসরি মাথায় ব্যবহার করতে পারেন।
- তেলের সাথে ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর ভিতরে থাকা তেল মিশ্রিত করে ব্যবহার করতে পারেন।
- ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর ভিতরে থাকা তেল মধু এবং টক দইয়ের সাথে মিশ্রিত করে মাথায় ব্যবহার করা যায়।
- শ্যাম্পুর সাথেও ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর ভিতরে থাকা তেল মিশ্রিত করে ব্যবহার করতে পারেন
- চাইলে আপনি কন্ডিশনার এর সাথেও কিন্তু ই ক্যাপ ক্যাপসুল এর ভিতরে থাকা তেল ব্যবহার করতে পারেন।