You are currently viewing কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো | কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো | কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

কৃমির সবচেয়ে ভালো ঔষধটি হলো: Albendazole 400 mg. অন্যান্য যেকোনো ক্রিমিনাশক ঔষধের চেয়ে এটি অধিক কার্যকর বলে বিবেচিত। কৃমিনাশক অন্যান্য ঔষধ এবং কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হবে। 

কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত কৃমি নাশক ঔষধ সেবন করা। নিয়মিত কৃমির ঔষধ সেবন না করলে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ঔষধ না খাওয়ার ফলে, অরুচি ক্ষুধামন্দা এমনকি বমি বমি ভাব হতে। 

এখন প্রশ্ন হল আপনি কোন ধরনের কৃমির ঔষধ খাবেন অর্থাৎ বাজারে থাকা কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো? এই ধরনের প্রশ্ন যদি আপনার মনে উদ্রেক হয়ে থাকে তাহলে নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো মনোযোগের সাথে পড়ুন। আশা করি আপনি আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন।

মূলত কৃমিনাশক ঔষধের নাম পরিবর্তন হয় কোম্পানির ভিন্নতার কারণে। একই ইনগ্রিডিয়েন্ট দিয়ে তৈরি ঔষধ ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন নামে বাজারে ছাড়ে। তাই কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে যে কোন কোম্পানির ঔষধ ভালো? অর্থাৎ আপনি ভাল যে কোন কোম্পানির কৃমির ঔষধ খেতে পারেন, এতে কোন সমস্যা নেই। তবে বাংলাদেশের সব থেকে বেশি ব্যবহারিত এবং গুণাগতমান সম্পন্ন কৃমির ঔষধ হল Albendazole 400 mg. 

এই ওষুধটি ছাড়াও আরো অন্যান্য ব্রান্ডের কয়েকটি কৃমির ঔষধের নামের তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো। চাইলে আপনি সেই ঔষধ গুলো খেতে পারেন। 

  • Albamax DS
  • Albazol DS
  • Albenda DS
  • Albendol
  • ABZ
  • Albamax DS
  • Aldaben-DS
  • Almex
  • Alphin DS
  • Azole
  • Benda DS
  • Elmin-DT
  • Sintel

কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

কৃমির ঔষধ খাওয়ার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। সুবিধামতো যেকোনো সময় আপনি কৃমির ঔষধ খেতে পারেন। যদি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কৃমির ঔষধ খান সেক্ষেত্রে ডাক্তার আপনাকে বলে দেবে যে কখন ঔষধ খেতে হবে।

  গলা ব্যাথার ঔষধের নাম | গলা ব্যথা হলে করণীয় কি

দুপুর কিংবা রাত, দিনের যেকোনো সময় কৃমি নাশক ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। তবে সাধারণত ভোরে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে কৃমির ঔষধ খাওয়া উত্তম এতে করে অধিক ফলাফল পাওয়া যায়।

অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয়

আপনার যদি অতিরিক্ত কৃমির সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতি গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করুন। আপনি যদি নিচে উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করেন তাহলে আশা করা যায় অতিরিক্ত কৃমির প্রকোপ থেকে মুক্তি পাবেন। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, অতিরিক্ত কৃমি হলে করনীয় কাজ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত।

  • হাইজিন মেনটেইন করুন: কৃমি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হাইজিন মেইনটেইন করার বিকল্প নেই। আপনি যদি যথাযথভাবে পার্সোনাল হাইজিন মেনটেইন করেন, তাহলে কৃমি থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন। 
  • জীবাণুমুক্ত পানি পান করুন: কৃমি থেকে সুরক্ষিত থাকতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে জীবাণুমুক্ত পানি পান করতে হবে কেননা যে সকল পানিতে জীবাণু রয়েছে বিশেষ করে প্যারাসাইট রয়েছে সেই পানি পান করলে আপনি কৃমিতে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই নিরাপদ পানি পান করুন কৃমি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।
  • খাবার ভালোভাবে রান্না করুন: খাবার ভালোভাবে রান্না না করে বা অর্ধ সিদ্ধ করে খাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি খাবার অর্ধ-সিদ্ধ করে খান, সেক্ষেত্রে কিন্তু রোগ জীবাণু থাকতে পারে বা প্যারাসাইট থাকতে পারে আর এই জীবাণুগুলোই মূলত কৃমির জন্য দায়ী। 
  • ফল এবং কাঁচা শাক-সবজি ভালোভাবে ধৌত করুন: ফল বা কাঁচা শাকসবজি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে না ধৌত করলে সেগুলোতে জীবাণু থাকতে পারে যা কৃমি হওয়ার অন্যতম একটি কারণ।
  • সংক্রমিত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন: যদি কোন খাবার সংক্রমিত থাকে বা কোন পোকামাকড় পড়ে কিংবা পাখি বা অন্য কোন প্রাণী মুখ দেয়, তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই খাবার সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে। কেননা সেই খাবারে জীবাণু থাকার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। যা কৃমি হওয়ার অন্যতম একটি কারণ। 
  থাইরয়েড নরমাল কত | থাইরয়েড কমানোর উপায়

বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ

কৃমি শুধুমাত্র ছোটদের নয় বড়দেরও হতে পারে। আর কৃমির সমস্যা দেখা দেওয়ার আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে। বিশেষ কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো কৃমি উৎপাদন করে থাকে। তাই যদি আপনি সুস্থ থাকতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে নিম্ন বর্ণিত কাজগুলো থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে। তো যাই হোক চলুন দেখে নেই, বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ সমূহ।

  • হাফ বয়েল ডিম খাওয়া: অনেকেই আছে যারা কাঁচা কিংবা হাফ বয়েল ডিম খেতে পছন্দ করেন। কাঁচা কিংবা হাফ বয়েল ডিম খাওয়া উচিত নয়। কেননা কাঁচা কিংবা হাফ বয়েল ডিমে প্যারাসাইট থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। 
  • কৃমিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা: আপনি যদি কৃমিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনারও কৃমি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 
  • খালি পায়ে হাটাহাটি করা: খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি করলে পায়ে প্যারাসাইট লেগে যায়, ফলে কৃমির মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর তাই অবশ্যই আপনাকে খালি পায়ে হাঁটা সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে এবং সাঁতস্যাঁতে এবং ভিজা জায়গায় গমন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 
  • খাওয়ার পূর্বে হাত ধৌত না করা: খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে হাত ধৌত করতে হবে। আপনি যদি খাবার পূর্বে হাত ধৌত না করেন, তাহলে কিন্তু কৃমি হতে পারে তাই অবশ্যই আপনাকে খাওয়ার পূর্বে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। 
  • অপরিচ্ছন্ন পানিতে গোসল করা: জীবাণুযুক্ত অপরিচ্ছন্ন পানি ব্যবহার করা কিংবা সেই পানিতে গোসল করলে কৃমি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অবশ্যই আপনাকে অপরিচ্ছন্ন পানি বা জীবনেযুক্ত পানি সম্পূর্ণরূপে পরিহার করে চলতে হবে। 

শিশুদের কৃমির ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

শিশুদের এক্ষেত্রে সাধারনত কৃমির সিরাপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ডাক্তারের পরামর্শক্রমে শিশুকে কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হবে। বড়দের মতো ছোটদেরও কৃমির ঔষধ খাওয়ার নির্ধারিত কোন নিয়ম নেই যে কোন সময় খাওয়ানো যেতে পারে।

  কাশির ট্যাবলেট এর নাম | কাশির সিরাপ এর নাম

শিশুদেরকে খাওয়ানোর কৃমির সিরাপ সাধারণত সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে খাওয়ানো যেতে পারে।অথবা চাইলে আপনি রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার সময় ও শিশুকে কৃমির সিরাপ খাওয়াতে পারেন। 

কৃমি দূর করার উপায়

আপনি যদি সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতিতে কৃমি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে চান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে নিচে উল্লেখিত তথ্য গুলো মনোযোগের সাথে পড়তে হবে এবং সেগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। 

নিম্ন বর্ণিত কৃমি দূর করার উপায় গুলো খুবই কার্যকর। আপনি যদি নিচে উল্লেখিত উপায়সমূহ যথাযথভাবে অবলম্বন করেন তাহলে প্রাকৃতিকভাবেই কৃমি নিরাময় করতে পারবেন। কৃমি দূর করার উপায় সমূহ সম্পর্কে নিচে আলোকপাত করা হলো।

  • হারবাল ঔষধ সেবন করুন।
  • ফাইবার যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন।
  • বসবাসের স্থান পরিষ্কার রাখুন।
  • খালি পায়ে হাটাহাটি করা বন্ধ করুন।
  • পোষা প্রাণী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।

গুড়া কৃমি দূর করার উপায়

কৃমি দূর করার যে সকল উপায় উপরে উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো যদি আপনি যথাযথভাবে অনুসরণ করেন তাহলে গুড়া কৃমি থেকেও মুক্তি পাবেন। বিশেষ করে অবশ্যই আপনাকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং খাওয়ার পূর্বে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এছাড়া সকল ক্ষেত্রেই হাইজিন মেনটেইন করে চলতে হবে। 

ব্যবহার্য কাপড় এবং অন্যান্য জিনিস অবশ্যই সব সময় জীবাণুমুক্ত এবং পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যদি আপনার অধিক পরিমাণে গুড়া কৃমি জনিত সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভালো মানের কৃমির ঔষধ খেতে হবে।  আর কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো তা ইতোমধ্যেই উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। 

Leave a Reply